স্বদেশ ডেস্ক:
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার আল নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমান হামলায় আল-শাইমা আকরাম সাইদাম নামে এক শিক্ষার্থী পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যসহ নিহত হয়েছেন। সাইদাম ২০২৩ সালে দেশটির উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সেরা শিক্ষার্থী হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের স্থানীয় গণমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে।
জুলাই মাসে সাইদামের বাড়িতে প্রতিবেশীরা তার কৃতিত্ব উদযাপন করতে জড়ো হয়েছিল। তিনি সাধারণ মাধ্যমিক শিক্ষা পরীক্ষায় গড়ে ৯৯.৬ নম্বর পেয়েছিলেন।
ফিলিস্তিনি আউটলেটকে সাইদাম বলেছিলেন, ‘ইসরাইলের আগ্রাসনের সময়ও আমি পড়াশোনা বন্ধ করিনি।’
ফিলিস্তিন ও জর্ডানে শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তাদের স্কুল বছরের সমাপ্তিতে তাওজিহি নামে পরিচিত একটি সিরিজ পরীক্ষা দিতে হয়। এই পরীক্ষাগুলোতে অর্জিত গ্রেডগুলো পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নির্ধারণ করে।
সাইদাম উল্লেখ করেছিলেন, তিনি তার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনের জন্য শিক্ষাবর্ষে একটি কঠোর সময়সূচি মেনে চলতেন। তিনি একটি সুশৃঙ্খল ঘুমের সময়সূচি বজায় রেখেছিলেন।
আন্তর্জাতিক এনজিও ডিফেন্স ফর চিলড্রেন অনুসারে, চলতি মাসে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বোমা হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত দুই হাজার ৮০৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে এক হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।
ইসরাইল ছিটমহল থেকে খাদ্য, পানীয়, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট বন্ধ করার সাথে সাথে ইউনিসেফ শিশুদের এবং তাদের পরিবারের স্বার্থে ‘অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানিয়েছে।
গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে সাইদামের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টি গত সপ্তাহে ইসরাইলি বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে যায়।
সূত্র : মিডেল ইস্ট আই